নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে শাহআলম (৩২) নামে এক যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবীতে সাতদিন আটককে রেখে তার ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরতা চালানো হয়। সে কুমিল্লা জেলার সদরদক্ষিন থানাধীন লোলবাড়িয়া এলাকার হাফেজ আহম্মেদের ছেলে এবং পেশায় গার্মেন্টসকর্মী।
বৃহম্পতিবার রাতে পুলিশের ‘৯৯৯’ থেকে ফোন পেয়ে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আশঙ্কা জনক অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদের মূলহোতা আলমগীরকে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। শাহআলমের বড়ভাই জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে শুক্রবার মামলাটি করেন। এর আগে আটক আলমগীরকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সে স্থানীয় উজানগোন্দি এলাকার তারা মিয়ার ছেলে। দশ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। অন্য আসামিরা হলেন স্থানীয় কালিবাড়ি হাটখোলা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাহেদ একই এলাকার আফজালের ছেলে সজিব, বড়বিনাইরচর এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে রাতুল একই এলাকার আয়নালের ছেলে আরমান ও কাঁঠালিয়াপাড়া এলাকার মোতালিবের ছেলে মাজহারুল।
পুলিশ জানিয়েছে, শাহআলম ও তার শ্যালক আরিফকে সোনারগাঁওয়ের মদনপুর এলাকা থেকে ১০ জানুয়ারি রাতে অপহরণ করা হয়। এক পর্যায়ে আরিফ কৌশলে মুক্ত হয়ে তার পরিবারের লোকজনকে মোবাইলে ফোনে অপহরণের বিষয়টি অবহিত করেন। তারা পুলিশের ‘৯৯৯’ থেকে ফোন ঘটনাটি অবহিত করেন। পরে আড়াইহাজার থানার পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
অপহরণের শিকার শাহআলম জানান, তিনি পেশায় গার্মেন্টসকর্মী। তাকে ও তার শ্যালককে মদনপুর এলাকায় থেকে ১০ জানুয়ারি রাতে অপহরণ করা হয়। চোখ ও মুখ বেধে একটি মাইক্রেবাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়। মোবাইলের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তপণের দাবী করা হয়। তিনি আরও জানান, পুলিশের তৎপরতায় তিনি বেঁচে গেছেন। তাকে হত্যা করা হতো। তার চোখ বেধে রেখে সাতদিন মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরতা চালায় অপহরণকারীরা। তার সাথে থাকা আরিফ কৌশলে মুক্ত হয়ে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানায়।
আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, আশঙ্কা জনক অবস্থায় অপহৃতাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।